মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
শ্যামল সরকারঃ
প্রাণনাশের আশংকা থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিজেকেসহ তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চাইলেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজান।
৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এভাবে জীবনের নিরাপত্তা চাইলেন।
কাজী মিজান বলেন, আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং মোহনপুরের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমিসহ আমার পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে অহেতুক বাবু হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার বিচারকাজ চলমান। আমি জামিনে থাকা সত্ত্বেও আমাকে প্রতিনিয়ত একটি পক্ষ হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
কাজী মিজান দাবী করেন, বাবু হত্যার সময় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী তিনি এবং তার অন্যান্য ভাই ও নেতাকর্মীরা বাড়ীতেই অবস্থান করছিলো যা সবাই জানে। অথছ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা ১২০ টি পরিবারের ৫৫টি ঘরবাড়ী, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, গবাদিপশু, নগদ ১২ কোটি টাকা লুটপাটসহ ২ মহিলাকে নৌকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা চলমান রয়েছে। আর তাই এর জের ধরে বাবু হত্যার প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতে তাকে ও তার পরিবারেকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাই তিনি তাদের সবার জীবন সংকটাপন্ন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
এসময় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন তপাদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়,১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বিল্লাল মৃধা,৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ সরকার, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গেলো ১৭ জুন মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। বাবু আওয়ামীলীগের প্রসিডিয়াম সদস্য মায়া গ্রুপের সদস্য এবং অপরপক্ষ হচ্ছেন এই মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজান গ্রুপ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলায় কাজী মিজানসহ তার গ্রুপের অনেকেই আটক হয় এবং জেলে যেতে হয়। যদিও বিষয়টি এখনো তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিচারাধীন রয়েছে আদালতে।