ভুয়া ডাক্তার আঃ সামাদ বড় রোগের চিকিৎসক, ডেকোরেশন ব্যাবসায়ী থেকে ডাক্তার বিল্লাল
দীন মোহাম্মদ দিলরাজঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলা হানারচর হরিনা বাজারে বিল্লালের ফার্মেসীতে চেম্বার সাজিয়ে চালাচ্ছেন বড় বড় রোগের চিকিৎসা, ভাঙ্গা জোড়ার বিশেষ দক্ষতায় সব কাজ সারতে পারেন, হানারচর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র’র কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ মিঞা। জানাজায় তিনি সরকারি চাকরির নির্ধারিত সময়ে নিয়মিত প্রাইভেট চেম্বার করেন। এছাড়াও নিচ্ছেন ফিস! করছেন বড় বড় রোগের চিকিৎসা, লিখছেন সকল প্রকার ঔষধ, হাড় ভাঙ্গার বেন্ডেজ করছেন সবসময়ই..
সামাদ মিঞা সকাল ১০টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে হরিনা বাজারে বিল্লাল’র ফার্মেসীতে বসে প্রেসক্রিপশন করেন।
এবিষয়ে বিল্লালের ফার্মেসীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমাদ মিঞা নিয়মিত বসেন, এসময় ফার্মেসীতে সরকারি ঔষধ দেখা যায়।
পরবর্তীতে এলাকার ইয়াছিন, বাবুল সহ অনেকে জানান, সামাদ মিঞা অফিস টাইম শেষে চাঁদপুরে ডাঃ মিলন সরকারের চেম্বারে থাকেন। যারফলে সামাদ মিঞা এলাকার অসুস্থ মানুষদের প্রাইভেট হাসপাতালে রেফার করেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সবাই ঔষধ পান না, যদি পান তবে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ করেন।
তারা আরও জানান, মারাত্মক যে কোন রোগী চিকিৎসা করেন, কিছুদিন পূর্বে পা কাটা রোগীর চিকিৎসা করেও ব্যর্থ হন, পরে এলাকাবাসী সামাদ মিঞার উপর ক্ষিপ্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফার্মাসিষ্ট জানান, সামাদ মিঞা যত ঔষধ লিখেন তা শুধুমাত্র বিল্লালের ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। তারা আরও জানান, হরিনা বাজারে বিল্লাল একসময় ডেকোরেশন ব্যাবসায়ী ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি ডাক্তার হয়ে যান।
অভিযুক্ত সামাদ মিঞার কাছে সরাসরি এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ১০টার আগে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোন মানুষ আসেনা, তাই বাজারে বসি..
ফিস নেন! জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করলেও প্রমান আছে শুনে স্বীকার করেন। তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার নাম করে প্রেসক্রিপশন করছেন, তার বিএমডিসি নাম্বার আছে কিনা? কোন জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন’র সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান, তারা প্রাথমিক নরমাল চিকিৎসা দিতে পারেন। অফিস টাইমে প্রাইভেট চেম্বার করতে পারবেননা, ভাঙ্গা কাজ করতে পারেননা। কোন অন্যায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমানিত হলে, আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।