স্টাফ রিপোর্টারঃ
বানিয়াচোঁ জে.বি উচ্চ বিঃ প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও মামলা বাজির কারনে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষা ব্যাবস্থা
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি বানিয়াচোঁ জয়নব বানু উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা গোলাম কিবরিয়া সহ এলাকার সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতায় ৪৩বছরের পথ চলায় বর্তমানে ১০জন শিক্ষক ও ৩৮৫জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে চলছে কার্যক্রম। তবে গোলাম কিবরিয়ার প্রতিষ্ঠিত কালিয়াপাড়া জি.কে উচ্চ বিদ্যালয় ও কাকৈরতলা গোলাম কিবরিয়া দাখিল মাদ্রাসা বরাবরই একাডেমিক সহ প্রাতিষ্ঠানিক উন্নতি হলেও বানিয়াচোঁ জে.বি ক্রমেই নিরব হচ্ছে।
ক্লাস হয় না! ক্লাসে শিক্ষক থাকেন না! প্রাইভেট বানিজ্য চলছে! এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১মাসের অনুন্ধানে, কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে এলো বিষধর সাপ।
শুরুতে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে শিক্ষক: শাহজাহান, কামরুজ্জামান ও ফারুকের প্রাইভেট সেন্টারে ৬ষ্ঠ, ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত, ১৫অগাষ্ট থেকে শুক্র-শনি চলছেতো ছলছেই বানিজ্যিক ভাবে গাদাগাদি করে ছোট রুমে পরপর একাধিক বেইজ ভিত্তিক প্রাইভেট বানিজ্য।
ছাত্রছাত্রীরা ভিডিও বক্তব্যে বলেন, প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় নাম্বার কম সহ ভিবিন্ন সমস্যা হয়। সুতরাং প্রাইভেট পড়তে হয়।
গত ২৮শে অগাস্ট ৩টা সময় স্কুলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীরা বাহিরে ঘুরাফেরা করছে, সাংবাদিক উপস্থিতি টের পেয়ে ক্লাস শুরু করেন। পরে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি আসেননি।
সহকারী প্রধান শিক্ষক সংকরের সাথে ভিবিন্ন বিষয়ে কথা হলে তিনি জনান, ১০জন শিক্ষক উপস্থিত কিন্তু ক্লাসে এবং অফিসরুমে গননা করে উপস্থিত ০৭ জন পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সাংবাদিকগন বের হয়ে রাস্তায় যাওয়ার আগেই স্কুল ছুটি দিতে দেখা যায়।
স্কুলের আশেপাশের শামীম, শিমুল সহ একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুল প্রতিষ্ঠাতার ওয়ারিশদের বাড়ির রাস্তা স্কুলের পাশেই ছিল। প্রধান শিক্ষক সে রাস্তা বন্ধ করে দিতে ছেয়েছেন। স্কুল কমিটি কয়েকবার হলেও তা দায়িত্বভার নিতে পারেননি।
সর্বশেষ স্কুল কমিটি সভাপতি হন মাদক কারবারি অভিযুক্ত শামছুল আলম, যা এলাকাবাসীর মতের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের একক সিন্ধান্তে করা হয়। তাছাড়া তিনি এলাকার মানুষের সাথে মামলা সহ নিয়মিত মুখের ব্যবহার খারাপ করে কথা বলেন।
এই বিষয়ে স্হানীয় চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জানান, স্কুলের এত সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে, আমরা এই ব্যাপারে কাজ করতে গেলে, প্রধান শিক্ষক বাধা হয়ে দাড়াঁন।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন: কেন তিনি এমনটা করছেন? প্রতিউত্তরে জানান, প্রধান শিক্ষক আর্থিকভাবে লাভবান হন। বর্তমানে স্কুল বেচে দেওয়া বাকি রাখছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের মতামতের জন্য সরাসরি না পেয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ এর কাছে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, ঐ স্কুলের কিছু সমস্যা আগেও জেনেছি, এখন আমি অডিট টিম পাঠাবো, এবং অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।