স্টাফ রিপোর্টারঃ
মতলবের উপাদিতে অবৈধ ভাবে জমি রেকর্ড ভুক্ত করার পায়তারা। এই শিরোনাম সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদি উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম গাজী ও রফিকুল ইসলাম গাজী ১০ জুন সংবাদ পত্রে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর পত্রিকা ও ৭ জুন অনলাইন পোর্টাল দৈনিক ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর মতলবের উপাদিতে অবৈধভাবে জমি রেকর্ড ভুক্ত করার পায়তার করা হচ্ছে এই শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। খবরটি মিথ্যা বানোয়াট ও উদেশ্য প্রনোদিত, এতে সিরাজুল ইসলাম গাজী ও রফিকুল ইসলাম গাজী কে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এতে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বিধায় যারা তাদের সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে উপাদি উত্তর ইউনিয়ন তথা ৮ নং ওয়ার্ডে জনগন প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে,মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাধি গাজীবাড়িতে মৃত জলিল গাজীর ছেলে ইব্রাহিম গাজীর পৈত্রিক সুএে মালিক সম্পত্তি অন্য ব্যক্তির নামে রেকর্ড ভুক্ত করার জন্য পায়তারা করছেন সেটেলমেন্ট অফিসের জরিপ কারক ও সার্ভেয়াররা।ইব্রাহিম গাজী পৈত্রিক সুএে ১১ শতক এর মালিক ও দাবিদার। তার আপন বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম গাজী ও চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম গাজী জরিপ কারক ও সার্ভেয়ারদের মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দিয়ে একই বাড়ির মৃত আতর আলী গাজীর ছেলে আক্কাস আলী গাজীর নামে শালী গাজীর নামে রেকর্ড ও খতিয়ানভুক্ত করার জন্য পায়তারা করছে। ইব্রাহিম গাজী বলেন দলিল মুলে ৫০ বছর ধরে মালিক হয়ে আমি এখানে বসবাস করে আসছি। উপাদি মৌজার সাবেক ১১৪৬দাগে,হালদাগ ৫১৭৩,ও ৩৩৯৫ খতিয়ানে আমি ১১ শতকের মালিক। আক্কাস গাজীর নামে তারা রেকর্ডভুক্ত করার জন্য বালাম বইয়ের নাম উঠায়। আমি এ কথা জানতে পেরে তাদের কে বসত বাড়ির সম্পত্তি রেকর্ড ভুক্ত না করার জন্য অনু রোধ করি। ভিটে বাড়ি ও বসবাসের জায়গায় তারা রেকর্ড ভুক্ত করার জন্য পায়তারা করায় ইব্রাহিম গাজী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অপর দিকে তার ছোট ভাই মোস্তফা গাজীর সরলতার সুযোগ নিয়ে বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম গাজী ও মুনাফ গাজী সারে চার শতাংশ জমি বেদখল করে নেন বহু দিন ধরে। সে সময় মোস্তফা গাজী মতলব দক্ষিণ থানায় একটি জিডিও করেছিলেন। কিন্তু এই সংবাদে বাদী ও ভিকটিমদের কোন বক্তব্য না দেওয়ায় এর কোন ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন সংবাদপত্রের সাথে জড়িত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ ব্যাপারে সার্ভেয়ার জয়নাল আবেদীন বলেন, একজনের জমি আরেকজনের নানে রেকড হয়নি আর রেকর্ড হওয়ার কোন সযোগ নেই, ইব্রাহিম গাজী ও সিরাজুল ইসলাম গাজী তারা আপন ভাই তাদের মধ্যে যদি কোন পারিবারিক সমস্যা থাকে আমরা বলেছি তারা যে নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেন। তাছারা জমিজমা নিয়ে ইব্রাহিম গাজী আমাদের কাছে কোন প্রকার অভিযোগ করেননি।
এ ব্যাপারে উপাদি উত্তর ইউনিয়নের ৮ ওয়ার্ড মেম্বার মামুন মিয়াজি বলেন, ইব্রাহিম গাজী তার চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম গাজী তারা তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে যেটুকু ঝামেলা হয়েছিল আমি ও এলাকার গন্যমান্য লোক নিয়ে তা বসে সমাধান করে দিয়েছি, তারপরও তারা কেন এই ব্যাপারটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে তা আমার বোধগম্য নয়।এখানে জরিপে যদি ভুল বসত কারও নামে বেশি রেকর্ড হয় তা সংশোধন করার সুযোগ আছে, ইব্রাহিম গাজীর সম্পত্বি সিরাজুল ইসলাম গাজী ও রফিকুল ইসলাম গাজী নামে বেশি রেকর্ড হয় তাহলে তা আমরা বসে সমাধান করে দিবো।