নীলফামারীতে ভূমিহীনদের নতুন আশ্রয় বকুলগাঁও
তপন দাস
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে গৃহহীন ও ভূমিহীন দের নতুন আশ্রয় হলো বকুল গাঁও।
আজ বুধবার নীলফামারী সদর উপজেলারর লক্ষীচাপ ইউনিয়নের ময়মনসিংহ পাড়ার নতুন আশ্রয় প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে বকুকগাঁও। আজ বুধবার সকালে ( ৪) চতুর্থ পর্যায়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে নতুন ঘরের চাবি প্রদান অনুষ্ঠানে আশ্রয় প্রকল্প মাঠে বকুল ফুলের চারা রোপন করে এই আশ্রয় প্রকল্পের নাম ঘোষণা করেন নীলফামারী ২ আসনের সাংসদ সদস্য জনাব আসাদ্দুজামান নুর এমপি। এসময় উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব জেসমিন নাহারেরর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব শাহিদ মাহমুদ, লক্ষীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আমিনুর রহমান, ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ্ ফকির, এসময় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, এসময় প্রধান অতিথি আসাদ্দুজামান নুর বলেন আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সবসময় বলেন যে জাতির পিতা যে কাজ গুলো করে যেতে পারে নি আমি তার সেই কাজ গুলো করার চেষ্টা করছি , সে জন্য তিনি দেশের মানুষের মুখের হাসি ফোটানোর জন্য যা করা দরকার তিনি তাই করবে। তিনি আরো বলেন যে সদর উপজেলায় যতো গুলো আশ্রয় প্রকল্প আছে সব কয়টিতে যেন ফুলের চারা রোপন করা হয়। আর এই আশ্রয় কেন্দ্রে আজ এই বকুল ফুলের গাছ লাগিয়ে আজ এর নাম দেয়া হলো বকুল গাঁও। এসময় আরো সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনুল আবেদীন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগেরর সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, লক্ষীচাপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামচরন রায়, টুপামারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগেরর আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, সহ আরো অনেকে। অন্য দিকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে বাংলাদেশের একটি মানুষ ও গৃহহীন থাকবে না এরেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ৪থ পর্যায়ে আজ ভিডিও কনফারেন্সেরর মাধ্যমে নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা কে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জেলা প্রশাসকের একটি সুত্র থেকে জানা যায় যে এর আগে তৃতীয় পর্যায় ডিমলা উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হয় এবং বাকি ৫ উপজেলায় ৪ থ পর্যায়ে ৬৭৮ টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় এবং এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১২০ টি,ডোমারে ১৩৯ টি, জলঢাকায় ১২৮ টি, কিশোরগঞ্জে ৪৫ টি, এবং সৈয়দপুর উপজেলায় ২৪৬ টি ঘর রয়েছে। ৬৭৮ টির মধ্যে ৪৮০ টি ঘর আজ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী উদ্ধোধন করেন।