নাঙ্গলকোট পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য অহরহর, খুঁটির জোর কোথায়?
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে একাধিক নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদ দখল করে নেন মেয়র আব্দুল মালেক।
এ সুযোগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লেখাপড়ায় বকলমী হলেও টাকা হাতানোর দক্ষ কারিগর।
জানা যায়,
শ্রীকামতা দাখিল মাদ্রাসায় দুই জন কর্মচারী নিয়োগের নামে চারজনের নিকট থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাউকে নিয়োগ দেয়নি। আয়া, লাইব্রেরিয়ান ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৩ জন থেকে টাকা নিয়ে তাদের নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান কর্মকর্তার সার্টিফিকেট না থাকায় নিয়োগ বাতিল করা হয়।
আইটপাড়া আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে অফিস সহকারীসহ তিন জন কর্মচারী নিয়োগে হাতিয়ে নেয় ২০ লক্ষ টাকা।
এই প্রতিষ্ঠানে ৪বছর ৬মাস সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মেয়র আব্দুল মালেক। এ ৪বছরে সে পরিচ্ছন্ন কর্মী, আয়া ও দপ্তরী সহ ৩জন নিয়োগ দিয়েছে, বাকী খালি আছে আরো তটি পদ।
চাটিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মী, আয়া ও অফিস সহকারীসহ ৪জন কর্মচারী নিয়োগে ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে।
এদিকে চাটিতলার পারভীন, ঝর্ণা, পেরিয়া ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রার্থীর টাকা নেওয়ার পর চাকরী না হওয়ায় টাকা ফেরত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
নাঙ্গলকোট পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য অহরহর, খুঁটির জোর কোথায়?
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, কাগজপত্রের রেকর্ড দেখে বলতে পারবো।
আইটপাড়া আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ শাহজাহান জানান, মেয়র আবদুল মালেক সভাপতি থাকা কালীন ভাইস প্রিন্সিপাল একজন, অফিস সহায়ক একজন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী একজন ও আয়া একজন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টাকা নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
চাটিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এ এফ এম শোয়েব বলেন, আমাদের স্বাক্ষর বিহীন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে দুই লক্ষ টাকা ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়ে গেছে।
এছাড়াও মেয়র আব্দুল মালেক নাঙ্গলকোট থানা কমপ্লেক্স শিশু নিকেতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদেও অধিষ্ঠিত আছে। সরকারী সার্কুলার অনুযায়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে হলে নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্রাজুয়েট হতে হয়। কিন্তু তার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরেও কিভাবে হয়েছেন, প্রশ্নটি রয়েই গেলো!
এবিষয়ে নাঙ্গলকোট থানা কমপ্লেক্স শিশু নিকেতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি এব্যাপারে কিছুই জানি না।
তাহলে কি ধরে নিবো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন নিয়োগ বার্ণিজ্য বা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য? তাহলে তার খুঁটির জোর কোথায়?
নাঙ্গলকোট পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য অহরহর, খুঁটির জোর কোথায়?