আমতলীতে ভাঙ্গনের মুখে মুজিব বর্ষের ঘর
আতঙ্কে ঘরের বাসিন্দা রাশিদা ও তার পরিবার
মো:মামুনুর রশিদ রাতুল, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীতে গুলিশাখালী নদীর ভাঙ্গনে বিলিনের পথে সরকার কর্তৃক দেয়া অসহায় রাশিদার মুজিব বর্ষের ঘর। গুলিশাখালী নদীর ভাঙ্গণে চরম উৎকণ্ঠাতার মধ্যে বসবাস করছেন রাশিদা ও তার পরিবারসহ নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে ,গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রাম সংগ্লন গুলিশাখালী নদীর তীরে অসহায় বাস্তুভিটাহীন রাশিদার জন্য সরকার মুজিব বর্ষের ঘর নির্মান করেদেন প্রায় দুই বছর পুর্বে। রাক্ষুসী গুলিশাখালী নদীর ভাঙনে ভয় আতংকের মধ্যে বসবাস করছেন রাশিদা ও তার পরিবার । কলাগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মো: শানু মেম্বর বলেন, বসত ঘরসহ দোকান ঘর ও ফলদ বৃক্ষ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এমন কি কলাগাছিয়ার পুরনো বাজারটিও ভাঙ্গনের তীব্রতায় এতোই বেশি বর্তমানে ওই গ্রামের বৃহত একটি অংশ নদী ভাঙণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
গ্রামীন সাংবাদিক পিএম সাজ্জাদ বিন খলিল ওরফে মো. শরীফ জানান,প্রতিনিয়ত রাতে কমবেশি কলাগাছিয়া বাজারসহ সরকারী -বেসরকারী স্থাপনা ভাঙ্গনের কবলে পরছে। ভোর রাতে ভাঙন শুরু হলে তারা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। মুহুর্তের মধ্যেই তাদের চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায় বাড়ি ঘর ।
ভুক্তভোগী রাশিদা জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে বাস্তভিটাহীন হয়ে পড়বে অসংখ্যা মানুষ আমার একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া ৭ম শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্রী। আমার এই ঘরটুকু ছাড়া আর কোন সহায় সম্বল নাই । আমার ঘরডা ভাইঙ্গা গেলে আমাদের আর থাকার কোন যায়গা নাই । আমাদের রাস্তায় থাকা ছাড়া কোন উপায় নাই।
রাশিদার মেয়ে ৭ম শ্রেনীর পড়–য়া ছাত্রী সুমাইয়া বলেন,সরকার আমাগো একটা ঘর দিয়েছে আমি ও আমার মা সেই ঘরে বসবাস করছি। আমি এই ঘরে বসে পড়া লেখা করছি এখন ঘরটা ভেঙ্গে গেলে আমাদের আর থাকার কোন যায়গা নাই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানাই ভাঙ্গন রোধে জরুরী ব্যবস্থা নেয়ার ।
ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড: এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি,বলেন বিষয়টি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন সরেজমিন পরিদর্শন করে নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।